বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

Brac University

স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর হাত ধরে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় । এরপর থেকে শুরু হয় উচ্চশিক্ষায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর পথচলা ।

এভাবে  দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান গড়ে নেয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এই ধারাকে অব্যাহত রেখে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। গবেষণা ক্ষেত্রেও দিন দিন বেশ উন্নতি করে যাচ্ছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্র‍্যাক ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং স্যার এর প্রোফাইল এরকমঃ

১। বিএস ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং- ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি

২। ইয়েল থেকে এমবিএ

৩। হার্ভার্ড থেকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন এ মাস্টার্স

৪। পিএইচডি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কম্পিউটার সায়েন্স, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলেলে

৫। সেকন্ড পিএইচডি ইকনমিক্স এ, এম আই টি – MIT ( ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ) থেকে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের আগে, তিনি চীনের চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অফ হংকং-এর প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের উদ্বোধনী চেয়ার হিসেবে, ওমানের ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং পরিকল্পনা পরিচালক হিসেবে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভার্জিনিয়া টেকের সাথে একাডেমিকভাবে অধিভুক্ত), এবং পিকিং ইউনিভার্সিটির এইচএসবিসি বিজনেস স্কুলের উদ্বোধনী নির্বাহী ডিন হিসেবে, চীনের প্রথম সর্ব-ইংরেজি আন্তর্জাতিক বিজনেস স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি এই ব্র্যান্ড-নতুন স্কুলটিকে একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মর্যাদায় আনতে সহায়ক ছিলেন। স্টার্টআপ ফার্মগুলির পাশাপাশি জেপি মরগান, ম্যাককিনসে, এক্সনমোবিল এবং ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের মতো সুপরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে মেডিকেল ইমেজিং, শক্তি, বিনিয়োগ, বিপণন এবং পরামর্শ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার অভিজ্ঞতা বিস্তৃত।

এছাড়া, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে । এইবার এমআইটি (MIT) থেকে পিএইচডি ও নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স আর পৃথিবীর আদি সভ্যতার রাজধানী গ্রীকের এরিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্ডারগ্রাজুয়েট করা Professor Charalabos Doumanidis-কে ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ পদে  নিয়োগ দিয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি যে গবেষণা কে গুরুত্ব দিচ্ছে তার একটি লিটমাস টেস্ট এই নিয়োগ ।

এইকথাগুলো লিখলাম এইটুকু বলতে যে, সামনে হয়তো উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেই থাকবে  বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বেশ উন্নতি করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও করবে। হার্ভার্ড , এমআইটি , অক্সফোর্ড সহ নামিদামি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রা QS Ranking কে বিবেচনায় আনেন ।

২০২২ সালের জন্য প্রকাশিত Qs Asian University Ranking এ স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ১৩ ইউনিভার্সিটি যার মধ্যে ৯ টি ই প্রাইভেট ৪ টি পাবলিক ।

তাছাড়া ২০২২  সালের জন্য প্রকাশিত Qs World University Ranking এ স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ৪ বিশ্ববিদ্যালয় যার ২ টি প্রাইভেট , ২ টি পাবলিক। এই Rank এ গবেষণা কে বেশ প্রাধান্য দেওয়া হয় । Qs Ranking এ সর্বোচ্চ মার্কস যেই ফ্যাক্টর টি বহন করে সেটা হলো অ্যাকাডেমিক রেপুটেশন এখানে রিসার্স কোয়ালিটি ও টিচিং কোয়ালিটি কে দেখা হয় ।

তাছাড়া আরো কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে যেখানে রিসার্স রিলেটেড ব্যাপার গুলো বেশ ভালো মার্কস বহন করে । বিস্তারিত এখানে লিখলে পোস্ট অনেক বড় হবে তাই এটি তাদের ওয়েবসাইটে দেখে নিবেন।  বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানানভাবে উন্নতি করে চলেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের বাকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো । ইন শা আল্লাহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো অনেক এগিয়ে যাবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

তাছাড়া দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ও বেশ ভালো করে যাচ্ছে এবং ঢাবি ও বুয়েট এর Rank ও গতবছরের তুলনায় এবার এগিয়েছে । দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এভাবেই আরো এগিয়ে যাবে অনেক দূর এইটাই সবার কাম্য ।

তাছাড়া , অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে  ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি,  Harvard University এর edX এর আদলে তৈরি করেছে buX যা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাকে সুন্দরভাবে চালানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। নিঃসন্দেহে এটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর এক দারুণ পদক্ষেপ ।

গবেষণা ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দিন দিন বেশ ভালো করে যাচ্ছে এবং তাদের রিসার্স আউপুট ও QS Rank অনুযায়ী খুব ভালো । দি ডেইলি স্টার প্রকাশিত এক নিউজে জানা যায় , “দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘অন্বেষা’ ও চাঁদের পৃষ্ঠে খনন যন্ত্র ‘চন্দ্রবট’ তৈরির পর পৃথিবীর কক্ষ ছাড়িয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ” । কিছুদিন আগে মঙ্গল তরী তৈরি করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর ৬ ছাত্র । <span;>ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ (ইউআরসি ২০২০) এর ফাইনালিস্টদের মধ্যে সেরা তিনে অবস্থান করছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নকশা করা মঙ্গল যান ‘মঙ্গল-তরী’।

৯৩ পয়েন্টস নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থেকে ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল মঙ্গল-তরী। সেরা দুইয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্টানফোর্ড স্টুডেন্টস রোবোটিক্স (৯৪) এবং ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছিল ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের মিশিগান মার্স রোভার টিম। ( বাংলা ট্রিবিউন ) ।

এছাড়া , “ব্র্যাকইউ ডুবুরি” নামেও তাদের এক রোবট বেশ সাফল্য লাভ করে । ২০২০ সালে , মার্স সোসাইটি সাউথ এশিয়া আয়োজিত মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত ড্রোন তৈরির প্রতিযোগিতা হয় । তাদের চ্যালেঞ্জ ছিল এমন একটি ড্রোন তৈরি করা যা মঙ্গল গ্রহে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে।

সব যাচাই বাছাই শেষে সেখানে সেখানে স্থান পায় বাংলাদেশের তিনটি দল যারা হলেন : বুয়েটের  টিম ইন্টারপ্ল্যানেটার দল হয় ৮ম , খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি দল হয় ৯ম ও  ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ব্র্যাকইউ কিলো ফাইট এর অবস্থান ১৬ তম। বাংলাদেশ থেকে এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় বেশ সাফল্য অর্জন করেছে । সারা বিশ্ব থেকে মোট ২৬ টি দল অংশ নেয় এই আয়োজনে।

এছাড়া , সম্প্রতি কিবো রোবট প্রোগ্রামিং চ্যালেঞ্জ (আরপিসি) নামে একটি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে বাংলা ভাষা পৌঁছে দিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের একটি দল। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) দুই বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। (প্রথম আলো)

তাছাড়া , ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড। তার প্রোফাইল পড়তে পড়তে মোটামুটি ক্লান্ত হয়ে গেছি। আর সব এড়িয়ে তার পিএইচডিটাই মনে ধরল বেশি—তিনি আঠারো ও উনিশ শতকের ব্রিটিশ উচ্চশিক্ষার ওপর পিএইচডি করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে। এই রেজিস্ট্রার নিয়োগের আগে উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন ভিনসেন্ট চ্যাং।

তার অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি দুটো করে, কাজের অভিজ্ঞতা তো আছেই। আর আছে দুটো পিএইচডি। হার্ভার্ড, এমআইটি, কলাম্বিয়া, ইয়েলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর স্কুল অফ ডাটা অ্যান্ড সাইন্সেস এর ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর মাহবুব মজুমদার স্যার ।

তাঁর  ব্যাপারে কিছু কথা তুলে ধরা যাক । ড. মাহবুব মজুমদার স্যার যিনি আমেরিকা ছেড়ে এসে বর্তমানে গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ ।

২ বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ট শিক্ষার্থী নির্বাচিত হওয়া এবং বিজ্ঞান প্রকল্পে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাত থেকে পদক নেয়া ডঃ মাহবুব মজুমদারের সবচেয়ে বড় পরিচয় প্রতিবছর বিশ্বসভায় বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনা গনিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ! অসামান্য প্রতিভার অধিকারী ডঃ মাহবুব স্যার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি (MIT) থেকে স্নাতক,স্টানফোর্ড থেকে স্নাতকোত্তর,ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ থেকে পিএইচডি এবং লন্ডন ইম্পেরিয়াল থেকে পোস্ট ডক্টরাল করেন।

দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সিয়াটোল,ওয়াশিংটন স্টেট,সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে! কিন্তু অন্য দশজনের মতো তিনি বিদেশে নিজেকে প্রতিষ্টিত না করে দেশের তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কাজ করার স্বপ্নে ফিরে আসেন দেশের মাটিতে!  ডঃ মাহবুব স্যার একবার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন “আমার সবসময়ই ইচ্ছে ছিল উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরে যাব,দেশের জন্য কাজ করব।”

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্ক্রিট ম্যাথমেটিকসের পুরো প্রোগ্রাম ডিজাইনার তিনি। স্টিফেন হকিং-এঁর আত্মজীবনীর বই-টিতে তাঁর প্রিয় ছাত্রদের মাঝে মাহবুব স্যারের নাম আছে।

২০০৫ সালে দেশের প্রতি ভালবাসা এবং টানের জন্য তিঁনি আবার বাংলাদেশে ফেরত আসেন, ব্র্যাকে তিনি মেশিন-লার্নিং, ব্লক-চেইন এবং অন্যান্য  স্টেট-অফ-দা-আর্ট প্রযুক্তির উপর কাজ করছেন। এছাড়া তিনি বিগত ১২ বছর ধরে বাংলাদেশের জাতীয় গনিত-অলিম্পিয়াড টিমের হেড কোঁচ হিসেবে কাজ করছেন।

তাঁর আন্ডারে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবে গোল্ড মেডেল জিতেছিল, এছাড়াও তাঁর আন্ডারে বাংলাদেশ ২৮টি ব্রোঞ্জ মেডেল, ৭টি সিলভার মেডেল জিতেছে । তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর ডেটা ও সাইন্স বিভাগের ডিন।

ওনাকে নিয়ে আরো পড়ুন এই লিংকে

সম্প্রতি বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদকে ব্র্যাকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিত্তাকর্ষক চিঠি দেন ব্র্যাকের উপাচার্য ড. চ্যাং। মোহাম্মদ কায়কোবাদ স্যার বলেন, তার চিঠির কথা এতই মূল্যবান মনে হয়েছে যে, আমি আর না করতে পারিনি।

এর বাইরেও আরো অনেকে রয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তে যাদের সবাইকে একে একে তুলে ধরা এক পোষ্টে সম্ভব নয় । এরা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে  যোগ দিয়েই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কে নতুনভাবে  গুছিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলাফল দৃশ্যমান হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইন শা আল্লাহ । ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর এই উদ্যোগ গুলো নিশ্চই প্রসংশার দাবিদার এবং  এভাবেই এগিয়ে যাক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ।

তাদের এই উদ্যোগ গুলো সত্যি ই বিভিন্ন আসা প্রত্যাশার আলোকপাত করেছে । শুভ কামনা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ।

(মূল লেখা থেকে সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)মূল লেখা  :
১. অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন স্যার ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় )
২. Engineer’s Tone
৩ .Engineer’s Diary