কোন পদ্ধতিতে হবে স্কুলে ভর্তি?

শিক্ষার্থী

২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি হতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

বুধবার (২৫ নভেম্বর)  সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি-সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং অন্য ক্লাসগুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা হয়।

তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে লটারি অনুষ্ঠানের সময় আগের মতো অভিভাবকরা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। ফাইল ছবি

দীপু মনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ক্যাচমেন্ট এরিয়া (বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা) কোটা বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার ৫০ শতাংশ করা হবে। এ ছাড়া এবার ঢাকা মহানগরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় পছন্দের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

ক্লাস্টারভিত্তিক লটারিতে বিদ্যমান একটি স্কুল পছন্দের পরিবর্তে পাঁচটি স্কুল পছন্দের সুযোগ দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, লটারিতে পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমেই ভর্তি করানো হবে।

ভর্তির সময় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে।

বই উৎসব প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ১ জানুয়ারিতে বই উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে এ বছর সমাবেশ করে বই বিতরণ করা হবে না।

কোন পদ্ধতিতে বই দেওয়া হবে,  তার নির্দেশনা স্কুলগুলোকে দিয়ে দেওয়া হবে।

ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কবে থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে, তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।

তবে যখনই ক্লাস শুরু হবে শুরুর দিকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

সেক্ষেত্রে হয়তো সবার সব দিন ক্লাস নাও হতে পারে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে জোর দেওয়া হবে বেশি। তাদের হয়তো একদিন বাদে বাকি সব দিনই ক্লাস নেওয়া হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ আছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ছুটি সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

করোনার সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সর্বশেষ এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে আলোকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।