কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারি ৭ টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০২০ সাল থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো যথাক্রমে:-
•বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদযালয়,ময়মনসিংহ
•বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,গাজীপুর
•শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা
•সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট
•পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,পটুয়াখালী
•চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম
•খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা।
• এবছর থেকে – হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ টি আসন যোগ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুষদ ও আসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ময়মনসিংহ
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ১১১৬ টি। অনুষদ রয়েছে ৬ টি। কিন্তু বিষয় পড়ানো হয় ৮ টি। তুলে ধরা হলো:-
•ভেটেরিনারি অনুষদ
•কৃষি অনুষদ:- ১.কৃষি । ২. ফুড সেফটি ম্যানেজম্যান্ট।
•পশুপালন অনুষদ
•গ্রামীন অর্থনীতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
•কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ:-
১.এগ্রিকালচারার ইন্জিয়ারিং। ২. ফুড ইন্জিনিয়ারিং।
•মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা
আসন সংখ্যা মোট ৭০৪ । বিষয় সংখ্যা ৫। বিষয়াবলি তুলে ধরা হলো :-
•কৃষি
•এগ্রিবিজনেস ম্যানেজম্যান্ট
•এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স
•এ্যানিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন
•ফিসারিজ এন্ড একোয়া কালচার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদযালয়, গাজীপুর
আসন সংখ্যা ৩৬০। বিষয় সংখ্যা ৪। তুলে ধরা হলো:-
•কৃষি অনুষদ
•ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সাইন্স
•ফিশারিজ অনুষদ
•কৃষি অর্থীতি গ্রামীন উন্নয়ন অনুষদ।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
আসন সংখ্যা ৪৩১। অনুষদ রয়েছে ৬ টা। তুলে ধরা হলো:-
•ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড বায়োমেডিকেল সাইন্স
•কৃষি অনুষদ
•মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ
•কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা
•কৃষি প্রোকৌশল ও কারিগরি শিক্ষা
•বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জনিয়ারিং।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
আসন সংখ্যা ২৪৫। অনুষদ রয়েছে ৩ টা। তুলেধরা হলো:-
•ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ
•ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদ
•ফিশারিজ অনুষদ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদযালয়,পটুয়াখালী
আসন সংখ্যা মোট ৪৪৩ । অনুষদ রয়েছে ৭ টা। তুলে ধরা হলো:-
•কৃষি অনুষদ
•মাৎসবিজ্ঞান অনুষদ
•ভেটেরিনারি মেডিসিন
•অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি
•ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট
•নিউট্রিশন এন্ড ফুড সায়েন্স
•ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা
আসন সংখ্যা মোট ১৫০। অনুষদ রয়েছে ২ টা। তুলে ধরা হলো:-
•কৃষি অনুষদ
•ভেটেরিনারি , অ্যানিমেল এন্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্স
•ফিশারিজ অনুষদ
•কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা
•কৃষি প্রোকৌশল ও কারিগরি শিক্ষা
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ
আসন ৯০ টি
আবেদন যোগ্যতা
(২০২১-২০২২) সার্কুলার অনুসারে।
২০১৭/২০১৮/২০১৯ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২০/২০২১ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশকৃত শিক্ষার্থীদের ৪র্থ বিষয় ব্যাতিত নূন্যতম গ্রেড ৪.০০ এবং সর্বমোট ৮.৫০ পেতে হবে।
এছাড়াও ও লেভেল এবং অ লেভেলের শিক্ষার্থীর জন্য ও লেভেলে নূন্যতম ৫টি বিষয়ে বি গ্রেড এবং এ লেভেল এ পদার্থবিজ্ঞান,রসায়ন, গনিত, বায়োলজিতে নূন্যতম বি গ্রেড পেতে হবে।।
উল্লেখ্য যে এসএসসি ও এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন, গনিত , জীববিজ্ঞান বিষয় আবশ্যক।।
আবেদন সময়
১৭ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট ২০২২।
প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় সেপ্টম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও সেশনের পরিস্থিতি নির্ভরশীল ও পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে।।
আবেদন প্রক্রিয়া
একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদন এর ফর্ম থাকে যা অনলাইনে থাকে। সেটা পূরন করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত,শিক্ষাগত তথ্যসহ ,ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করতে হয়। বিষয়াবলি ও বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দক্রম দিতে হয়।
ওয়েবসাইটটিতে একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি থাকে প্রতি শিক্ষার্থীর আলাদা ভাবে,পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য।
সম্পূর্ন ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাউ কতৃক পরিচালিত সিস্টেমটির হলো:-cluster Agricultural system । এটা ভর্তি প্রক্রিয়ার আগে থেকে পরবর্তী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অ্যাভেলএভেল থাকে।
ভর্তি কার্যক্রম:-www.acas.edu.bd
আবেদন ফি
মোবাইল ব্যাংকিং রকেট, বিকাশ, শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ১২০০ টাকা প্রদান টাকা প্রদান করতে হয়।
পরিক্ষার ধরন
•নৈবিত্তিক(এমসিকিউ) ১০০ টি প্রশ্ন। যার মধ্যে প্রশ্ন থাকবে পদার্থ,রসায়ন, গনিত,ইংরেজি,জীববিজ্ঞান বিষয় থেকে।
নম্বর বন্টন
•প্রতি ভুল উত্তরের জন্য .২৫ নম্বর কাটা যাবে।।
•পদার্থ-২০, রসায়ন-২০, গনিত২০, জীববিজ্ঞান-৩০, ইংরেজী-১০।
•এসএসসি*৮ + এইচএসি*১২ =১০০
•সর্বমোট ২০০ নম্বর।
মেধাস্কোর
লিখিত পরিক্ষা ১০০ নম্বর এবং এসএসসি জিপিএ কে ৫ গুন ও এইচএসসি জিপিএকে ৫ গুন দিয়ে মোট ১৫০ নম্বরের উপর মার্কিং করা হবে।।
ভর্তি প্রক্রিয়া
কৃষি বিশ্বগুলোর গুচ্ছ পদ্ধতিতে হওয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া টা অনেক জটিল বলা বাহুল্য।। কোটাসহ মোট আসন রয়েছে প্রায় ৩৫৩৯। কোটার আসন রয়েছে প্রায় ২৪২। কোটাতে অন্তভুক্ত মুক্তিযুদ্ধা ও উপজাতি। সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বিষয় সংখ্যা ৩৭। যা ভর্তি প্রক্রিয়ার আবেদনের সময় পছন্দক্রমের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে বড় ভূমি রাখে।
আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিষয়াবলির পছন্দক্রমের লিস্টে নির্বাচন করতে কোনটি আগে বা পরে দেওয়া হবে।
ভর্তি পরিক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বারের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্বাচিত হয়।।
যে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচিত হয়, সেখানে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তীতে আসন ফাঁকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পছ্ন্দ ক্রম অনুযায়ী মাইগ্রেশন সম্পন্ন হয়। এজন্য শিক্ষার্থীর কোনো কাজ করতে হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভ্যন্তরীন ভাবে কাগজ পত্র আদান প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থী শুধুমাত্র নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী সর্বশেষ নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে রিপোর্ট করতে হবে।
এক্ষেত্রে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফি বেশি হলে অন্তভুক্ত করতে হবে। কম হলে ফেরত দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী চাইলে মাইগ্রশেন অপশন বন্ধ করতে পারবে তারপর ফাঁকা আসনের ভিত্তিতে ওয়েটিং পজিশন থেকে ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ন করা হয়ে থাকে।।
ভর্তি তথ্য ও সহযোগীতার জন্য আমাদের গ্রুপে যুক্ত হও: