ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এম.এস.সি

DUET

আজ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাস্টার্সের কোর্স গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

ঢাকার অদূরে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। যারা চাকুরী সূত্রে গাজীপুরে আছেন‌ তাদের জন্য কিন্তু এটা খুব ভালো সুযোগ।

২০১৪ সালে ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাস্টার্স কোর্স চালু হয় । এখন আমাদের অনেকের প্রশ্ন নন-ডিপ্লমা ডিগ্ৰিধারীরা আবেদন করতে পারবেন কিনা? উওর হলো আপনি পারবেন কিন্তু আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরন করতে হবে।

ডুয়েটের ওয়েবসাইটে ২০১৮ সালের সর্বশেষ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া গিয়েছে,এই আর্টিকেল লিখতে ডুয়েট ২০১৬-১৭ সেশনের কনক আনোয়ার ভাইয়ের একটি লেখার সাহায্য নেয়া হয়েছে। তিনি প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইকে তার তথ্যের জন্য , নাহয় এই আর্টিকেল লেখা সম্ভব হত না।

⬛মোট আসন সংখ্যা-৪০ টি ( কোন মেজর সাবজেক্ট নেই)
⬛এমএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের ১৮(থিউরি)+১৮(থিসিস)=৩৬ ক্রেডিট

১৮ ক্রেডিট শেষ করতে কমপক্ষে ০৬ মাসের ০২টি সেমিস্টার লাগবে মোট ১ বছর। বাকি ১৮ ক্রেডিট রিসার্চ কাজ। ০৫ বছরের জন্য ছাএত্ব প্রদান করা হয় উক্ত প্রোগ্রামের জন্য।এখানে থিউরি কোর্স খুব একটা কঠিন কিছু নয়।ডুয়েটে এই প্রোগ্রাম সবাই পার্টটাইম ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়। সপ্তাহে ১-২ দিন ক্লাশ থাকে। ছাত্র পছন্দমত দিনে ক্লাস নিতে পারবে। ০২ দিনই নেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই, চাইলে একদিন ও নেয়া সম্ভব।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে , ডুয়েট থেকে এম.এস.সি ডিগ্ৰি পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ এর ব্যাপারে সচেতন হতে হবে , যার জন্য ছাএত্ব ৫ বছর দেয়া। থিউরি ১৮ ক্রেডিট যতটা সহজে করবেন , রিসার্চ এর ১৮ ক্রেডিট ঠিক ততটাই আতঙ্কিত করবে।

🔘আবেদন প্রক্রিয়া-
১/ শুরুতে আপনার ভর্তি যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য একাডেমিক সনদপত্র, মার্কশিট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলাম এর ফটোকপি একটি আবেদন পএ সংযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহাদয় বরাবর আবেদন করতে হবে। সেই সাথে কোর্স কারিকুলাম এর অনলাইন লিংক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় ১৫০০ টাকা প্রদান করতে হবে এই নিরীক্ষা বাবদ।

২/নির্দিষ্ট সময় পর নির্বাচিতদের নাম প্রকাশ হবে। পরবর্তীতে তাদের ওয়েবসাইট অথবা একাডেমিক ভবন থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে। সাথে আবেদনকারীর ছবি এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করে অগ্ৰনী ব্যাংক বরাবর ১২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করে জমা দেয়া লাগবে।

৩/ সবশেষ ভর্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণকারীদের একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

৪/লিখিত পরীক্ষাও তাই হয় একক ফরমেটে।সময় ১.৫-২ঘন্টা।খুবই সহজ ও টেক্সটাইলের সাধারণ বিষয়ের আলোকে সর্ট প্রশ্ন থাকে। ডাইয়িং/নিটিং/স্পিনিং থেকে ২-৩টা সহজ সূত্রের ম্যাথ থাকে।গার্মেন্টস থেকে ছোট প্রশ্ন থাকে।যেমনঃ সুইং পার্টস এর নাম, কাজ,বিভিন্ন টেস্ট এর নাম/কাজ, ইত্যাদি ও শেষে একটা বড় প্রশ্ন,কোন বিষয়ে আমরা থিসিস করতে আগ্রহী এবং কারন।যা প্রশ্ন আসে,০১ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব।

আর একইদিনে ভাইভা হয়। নরমাল হাই/ হ্যালো। “কেন”,“কি” প্রশ্নের উত্তর।

ছাত্রের বেসিক ধারনা ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয় বোর্ড এ।

সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে , আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই ওয়েবসাইটে চেক করে নিবেন কেন না এখানে যা তথ্য আছে সব পরিবর্তনশীল।

লেখক-
নাজমুল হাসান আনান
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়.